চাকরি পাওরার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে নিজের সুন্দর একটি সিভি। একজন সিলেকশনার প্রথমে কাউকে না চিনেই তাকে প্রাথমিক বাছাই করে থাকে একটি সিভির মাধমে। একটি সিভি যত নির্ভুল, গোছানো ও তথ্য-বহুল হবে , সেই সিভিটা শর্ট লিস্টেট হবার সম্ভবনা তত বেশি।
আধুনিক যুগে প্রিন্টেট সিভি’র চেয়ে প্রধানত ই-মেলেই সিভি বেশি আদান-প্রধান করা হয়। বর্তমান চাকরীর বাজারে যেকোন চাকরীর বিজ্ঞপ্তিতে প্রচুর আবেদন পড়ে যার ফরমাল মাধ্যম হচ্ছে সিভি। যেহেতু কয়েকটি খালি পোস্টের জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়ে তাই শর্টলিস্টেট করায় সময় ইমেইল বা সিভির ভুলকে খুব প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ই-মেইলে সিভি পাঠাতে গেলে ধরণের ভুল হবার সম্ভবনা থাকে-
১। ই-মেইল সংক্রান্ত ভুল।
২। সিভি সংক্রান্ত ভুল।
ই-মেইল সংক্রান্ত ভুলের নমুনাঃ
✓ ই-মেইল এর সাবজেক্ট না লেখা।
✓ সাবজেক্ট ভুলভাবে লেখা।
✓ সাবজেক্ট এ যে পোস্ট এর জন্য সিভি পাঠানো হচ্ছে তা না লেখা।
✓ ই-মেইল এর বডিতে কিছু না লেখা
✓ বডিতে কিছু লিখলেও কোন সম্বোধন না করা।
✓ নিজের নাম লেখে ই-মেইল এর বডি শেষ করা।
✓ ইমেই এর বডিতে কাভার লেটার না দেওয়া।
✓ ই-মেইল বডিতে ভুল শব্দ বা বাক্য থাকা।
✓ সিভি PDF ফরমেট না দিয়ে Word ফরমেট এ পাঠানো।
✓ সিভি ফাইলটার যথার্থ নাম দেয়না
সিভি সংক্রান্ত ভুলের নমুনাঃ
✓ সিভিতে শব্দ ও বাক্যগত ভুল থাকা।
✓ সিভিতে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রাধান্য দেওয়া।
✓ সিভিতে নিজেকে উপস্থাপণ করতে না পারা।
✓ সিভিতে ভুল তথ্য দেওয়া।
✓ সিভিতে লেখা যেকোন বিষয় সম্পর্কে ভাইবাতে বলতে না পারা।
✓ সিভি দেখতে স্মার্ট না হওয়া।
যেহেতু চাকরীর বাজার খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ তাই চাকরিদাতা অনেক প্রার্থীর মধ্য থেকে সবদিক দিয়ে ভাল ব্যক্তিটিকেই সিলেক্ট করবেন। তাই নিজেকে বাচাই পর্বের প্রাথমিক ধাপেই যোগ্য প্রমাণ করতে হবে। আর প্রথম ধাপেই ভুলের কারণে বাদ পরে গেলে ভাইভা দেওয়ার সুযোগটাই আসবে না ফলে চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যাবে।
Visit textilebd.org! Super article
ReplyDelete